সোমবার ২৭ অক্টোবর ২০২৫ - ০৯:২০
ইরান–আফগানিস্তান সম্পর্কের নতুন অধ্যায়: পানি, সীমান্ত ও বিচারিক সহযোগিতায় সমঝোতার সম্ভাবনা

দীর্ঘদিনের পানিবণ্টন ও সীমান্ত উত্তেজনা প্রশমনের লক্ষ্যে ইরানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী কাজেম গরীবাবাদি কাবুল সফরে রয়েছেন। তাঁর এই সফরকে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে নতুন কূটনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা হিসেবে দেখা হচ্ছে, যেখানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে হেলমান্দ নদীর পানি, সীমান্ত সহযোগিতা ও বিচারিক সমন্বয়।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনি ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপমন্ত্রী কাজেম গরীবাবাদি একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে কাবুলে পৌঁছেছেন। তাঁর সফরের লক্ষ্য হলো আফগান সরকারের সঙ্গে যৌথ পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত নিরাপত্তা এবং বিচারিক সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচন।

গরীবাবাদি আইআরআইবি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, এই সফর তেহরানের আঞ্চলিক কূটনৈতিক নীতির অংশ, যা প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার ও সহযোগিতা সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে পরিচালিত। তাঁর মতে, এই তিনটি ক্ষেত্রেই ইরান ও আফগানিস্তানের পারস্পরিক সহযোগিতার সুযোগ উল্লেখযোগ্য।

ইরান ও আফগানিস্তানের মধ্যে বহু বছর ধরে হেলমান্দ নদীর পানিবণ্টন, সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ এবং ইরানে অবস্থানরত আফগান অভিবাসীদের ইস্যু নিয়ে টানাপোড়েন বিদ্যমান। গরীবাবাদির সফরকে তাই এই ঐতিহাসিক সমস্যাগুলোর সমাধানের প্রাথমিক উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ইরানি প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের সফর ও সংলাপ পারস্পরিক আস্থা ও বোঝাপড়া বৃদ্ধির পথ প্রশস্ত করে। অন্যদিকে, আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি দুই দেশের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধন উল্লেখ করে বলেন, ইরান ও আফগানিস্তান পারস্পরিক স্বার্থে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।

সফরের অংশ হিসেবে গরীবাবাদি শামসুদ্দিন শরিয়াতি, ডিক্রি ও আদেশ বাস্তবায়ন বিভাগের প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে দুই দেশের মধ্যে দণ্ডপ্রাপ্ত বন্দিদের হস্তান্তর, অপরাধীদের প্রত্যর্পণ এবং কারাগারে আটক ইরানি নাগরিকদের কনস্যুলার অধিকার নিয়ে প্রাথমিক সমঝোতা হয়। পর্যবেক্ষকরা এই সফরকে তেহরান–কাবুল সম্পর্ক পুনর্গঠনের এক ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করছেন।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha